মুক্তমত
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এরইমধ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে বাংলাদেশ। পুরো বিশ্ব জানো এখন অচল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ থেকে বলা হচ্ছে সারা বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি এবং মন্দা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবং এমন অবস্থা চলতে থাকলে আরও বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে গোটা বিশ্ব। বাংলাদেশের করো না পরিস্থিতি নিয়ে এর আগেও অনেক হুশিয়ারি দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তবে বস্তুত তেমনটাই হতে চলেছে আগামীতে
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে প্রথমবারের মতো দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানলেও তা কোনো ভাবেই কনফার্ম হওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেছি। যোগাযোগ করেছি বাংলাদেশ দূতাবাস ও নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে। কিন্তু বাস্তবতা হলো কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের পরিচয় খোদ যুক্তরাষ্ট্র সরকারই গোপন রাখছে। বিভিন্ন সূত্র শুধুমাত্র আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা জানাচ্ছে। তাই যে কারো পক্ষে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।
করোনায় আক্রান্তদের পরিবারও সামাজিক কারণে তা প্রকাশ করছেন না। কেননা, কোভিড-১৯ এমনই ভয়াবহ যে মা তার সন্তানের কাছে, সন্তান তার মায়ের কাছেও যেতে পারছে না। এ অবস্থায় মৃত এক বাংলাদেশির নিকটজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাই দেরীতে হলেও মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।
এ নিয়ে যখন রিপোর্ট তৈরির প্রস্তুতি নিচ্ছি তখন আমার নিকট একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর পেলাম। তিনি নিউ ইয়র্কের একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী। এ নিয়ে ২১ জন বাংলাদেশি প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
তবে আমার ধারণা, বাংলাদেশিদের আক্রান্ত হওয়ার প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। কেননা, নিউইয়র্কে মিডিয়া পরিবারের তিনজন করোনা ভাইরাসে অক্রান্ত হয়েছেন। তারা খবরটি প্রকাশ করছেন না। যেখানে মিডিয়ার মানুষই মিডিয়াকে তথ্য দিচ্ছে না সেখানে অন্যদের অবস্থাটা কি তা নিশ্চয়ই অনুমান করা যায়। পরিস্থিতি সত্যিই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
সারা বিশ্ব এখন করোনা পরিস্থিতিতে ভুগছে। ইউরোপের দেশ ইতালি জানো এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুহার। এদিক দিয়ে চিনকে ছাড়িয়ে গেছে তারা। যদিও চীনের জন্য একটা ভালো খবর হলো নতুন করে আর কোন আক্রান্তের সংখ্যা নেই। আক্রান্ত যারা ছিলেন তারা অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। ইতিমধ্যে চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা ডাক্তার-নার্সরা নতুন আর কোনো রোগী আক্রান্ত না হওয়ায় বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারা