সারা দেশ
বরগুনার আলোচিত রিফাত এবং নয়ন বন্ড ছিলেন বাল্যকালের বন্ধু তারা একসাথে স্কুলে পড়াশোনা করেছেন সেই সূত্রেই তাদের পরিচয় এবং তাদের মধ্যে সখ্যতা কিন্তু ঘটনা সুত্রে যখন রিফাত মিন্নি কে বিয়ে করেন এবং তার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন তখন থেকেই নয়ন বন্ড মিন্নির ওপর দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন এবং মিন্নিকে নানানভাবে প্রস্তাব দিতেন তিনি এক পর্যায়ে তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন দাম্পত্য কলহের জেরে রিফাতকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা
আরো পড়ুন
Error: No articles to display
আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ মামলায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের .. আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ৪ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। এসময় মিন্নিসহ ৯ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনায় মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। আদেশের পরই মিন্নিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, রিফাত শরীফ মামলায় রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ছয়জনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই মিন্নিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আসামিরা হলেন, ১. রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), ২. আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), ৩. মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), ৪. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), ৫. মো. হাসান (১৯), ৬. আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। এছাড়া খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯), ও কামরুল ইসলাম সাইমুন (২১)। পলাতক মুসা ব্যতীত বাকিরা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ঘটনার একটি ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয় ।ওই ঘটনায় ’জীবনের ঝুঁকি’ নিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টার জন্য সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র ’সাহসী স্ত্রী’ হিসেবে প্রশংসিত হন মিন্নি।
পরে রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় মামলা করেন। মামলায় মিন্নিকে এক নম্বর সাক্ষী করা হয়। রিফাত পর বরগুনা শহরে ’কিশোর গ্যাংয়ের’ দৌরাত্ম্যের বিষয়টি প্রকাশ পায়। তাদের নেপথ্যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে রিফাত কারণ নিয়ে বিভিন্ন রকমের আলোচনা শুরু হয়। এরই মধ্যে গত বছর ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন ..হয়।
এর পরপরই মিন্নির শ্বশুর তার পুত্রবধূ মিন্নির জড়িত থাকার অভিযোগ তুললে আলোচনা নতুন মোড় নেয়। ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ঘটনার দিন মিন্নিকে কলেজে এগিয়ে দিতে যাচ্ছিলেন রিফাত এবং সেখানেই পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক রিফাত ফরাজী এবং অন্যান্যরা যারা এই মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন তারা সেখানে গিয়ে রিফাতকে বেশ বিপাকে ফেলে দেয় এরপর উদয় হয় প্রধান আসামি নয়ন বন্ডের এবং সে এসে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে দেয় এবং রিফাত শরীফকে নাজেহাল করে ফেলে একেবারে